নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশালের হিজলা উপজেলায় সাংবাদিকদের চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও পুলিশের মামলায় স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে আজ (২০ ডিসেম্বর) রোববার উপজেলা পরিষদের সামনের মাঠে মানববন্ধনের আয়োজন করে হিজলা প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ। পরে বরিশাল জেলা প্রশাসকের বরাবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য গত ১৫ তারিখ রাতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এই সংবাদ হিজলা উপজেলার সবত্র ছড়িয়ে পড়লে হিজলার কর্মরত সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহে সেখানে যায় এবং তাদের ব্যবহারিত মোটরসাইকেল নিরাপদ স্থান ডাকবাংলোতে রাখে। রাত অনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে উভয়গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের একপর্যায়ে গুলিবর্ষণে শব্দে সাংবাদিকরা আত্মরক্ষার্থে নিরাপদ স্থানে চলে যায়। সেখানে থাকা সাংবাদিকদের চারটি মোটরসাইকেল ভেঙে চুরমার করে দেয়। সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ভাঙচুরের প্রতিবাদে গত ১৮ তারিখ হিজলা প্রেসক্লাবে জরুরি সভা থেকে আজকের মানববন্ধনের ঘোষণা করা হয়েছিল।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- হিজলা প্রেসক্লাবের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক সুমনুর রহমান সোহাগ, আবদুল হামিদ, মোঃ নুরনবী, সাইফুল ইসলাম, মাহাবুবুল আলম সুমন তালুকদার, আবদুল আলীম, তালুকদার মামুন, মিলন সরদার প্রমুখ। এছাড়াও মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন- ভাষা সৈনিক নায়েব আবদুল কুদ্দুস, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ দমন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ খগেন চন্দ্র বিশ্বাস, হিজলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রেমজি লাল দাস, মুলাদী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাংবাদিক সম্মিলিত ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন সহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতারা বলেন- সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং পুলিশের করা মামলা থেকে সাংবাদিক কাজী মহসিনের নাম বাদ দেওয়ার দাবি জানিয়ে রাজনৈতিক দল ও প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন এ বিষয়ে ব্যবস্তা গ্রহণ না করা হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
Leave a Reply